বিষয়বস্তুতে চলুন

রূড়কী

স্থানাঙ্ক: ২৯°৫২′২৯.৪৯″ উত্তর ৭৭°৫৩′২৩.৭৪″ পূর্ব / ২৯.৮৭৪৮৫৮৩° উত্তর ৭৭.৮৮৯৯২৭৮° পূর্ব / 29.8748583; 77.8899278
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রূড়কী
শহর
Main Administrative Building IIT Roorkee
The East India Company-era (1854) Ganeshpur bridge over the Ganges Canal in Roorkee, 2008
Kingdom of Dreams
উপর থেকে: আইআইটি রূড়কীর প্রধান প্রশাসনিক ভবন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি - যুগে (১৮৫৪) গঙ্গা খালের উপরে গণেশপুর ব্রিজ ও সেন্ট জনস চার্চ।
রূড়কী উত্তরাখণ্ড-এ অবস্থিত
রূড়কী
রূড়কী
ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৯°৫২′২৯.৪৯″ উত্তর ৭৭°৫৩′২৩.৭৪″ পূর্ব / ২৯.৮৭৪৮৫৮৩° উত্তর ৭৭.৮৮৯৯২৭৮° পূর্ব / 29.8748583; 77.8899278
দেশভারত
রাজ্যউত্তরাখণ্ড
জেলাহরিদ্বার
প্রতিষ্ঠিত১৮৪২
পৌরসভা১৮৬৮
প্রতিষ্ঠাতাপ্রোবি কটলি
সরকার
 • ধরনমেয়র – কাউন্সিল
 • শাসকরূড়কী পৌর কর্পোরেশন
 • মেয়রখালি
 • পৌর কমিশনারপ্রবেশচন্দ্র ডাণ্ডিয়াল, আইএএস)
উচ্চতা২৬৮ মিটার (৮৭৯ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)[]
 • মহানগর২,৭৩,৫০২
ভাষা সমূহ
 • সরকারিহিন্দি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
পিন২৪৭৬৬৭
টেলিফোন কোড+৯১-১৩৩২
যানবাহন নিবন্ধনইউকে-১৭
যৌন অনুপাত১.১২[] /
ওয়েবসাইটnagarnigamroorkee.com

রূড়কী হল উত্তর ভারতের একটি শহর এবং ভারতের উত্তরাখণ্ড (পূর্বে উত্তরাঞ্চল) রাজ্যের হরিদ্বার জেলার একটি পৌর কর্পোরেশন। এটি হিমালয়ের শিবালিক পাহাড়ের নিচে সমতল ভূখণ্ড জুড়ে বিস্তৃত। শহরটি গঙ্গা খালের তীরে গড়ে উঠেছে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য, এটি উত্তর থেকে দক্ষিণের শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। রূড়কীতে এশিয়ার প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি রূড়কী রয়েছে, আগে এর নাম ছিল থমসন কলেজ অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। রূড়কীর আর একটি পরিচিতি হল রূড়কী সেনানিবাস, দেশের অন্যতম প্রাচীন সামরিক স্থাপনা এবং ১৮৫৩ সাল থেকে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ার গ্রুপের সদর দফতর।[] ২২শে ডিসেম্বর ১৮৫১ সালে রূড়কী ভারতের প্রথম ট্রেন যাত্রার অন্যতম একটি শেষ বিন্দু (পিরান কালিয়রসহ) হওয়ার গৌরব অর্জন করে।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
গঙ্গা খাল, ১৮৬০।

১৮৪০ সালের আগে, ছোটো নদী সোলানির তীরে,এখানে মাটির ছোট ছোট কুটির নিয়ে একটি গ্রাম ছিল।[] ১৮৪২ সালের এপ্রিল মাসে একজন ব্রিটিশ অফিসার প্রোবি কটলির নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে উচ্চ গঙ্গা খাল খননের কাজ শুরু হয়। স্থানীয় কাজগুলির তদারকি করেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার থমাস লগইন[] এর পরেই, রূড়কী একটি শহরে পরিণত হয়েছিল। ১৮৫৪ সালের ৮ই এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত খালটি ৫,০০০টি গ্রামের ৭৬৭,০০০ একর (৩,১০০  কি.মি.) এর চেয়ে বেশি জমিতে সেচের জল সরবরাহ করেছিল।[]

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা, কর্নেল পি.টি. কটলি, খালটি নির্মাণে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছিলেন। জলানুসন্ধান বিজ্ঞান অনুযায়ী, ১৮৫৩ সালে নির্মিত খালটি, এখনও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক বিস্ময় হিসাবে বিবেচিত। তবে ১৮৫৪ সালের ৮ই এপ্রিল খালে জল ছাড়া হয়েছিল।

খালের রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশোনা করার জন্য, ১৮৪৩ সালে, খাল পাড়ের বসতি অঞ্চলে ক্যানাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড আয়রন ফাউন্ড্রি তৈরী করা হয়। এখন এর নাম সেচ কর্মশালা। এর পরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়; ক্লাস ১৮৪৫ সালে শুরু হয়েছিল।[] স্থানীয় যুবকদের গঙ্গা খালের উপর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজে সহায়তা করার প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে এটি তৈরী করা হয়।[] এটি ছিল ভারতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম প্রকৌশল কলেজ।[] ২৫শে নভেম্বর ১৮৪৭ সালে, উত্তর পশ্চিম প্রদেশের লেঃ গভর্নর (১৮৪৩-৫৩) স্যার জেমস থমসনের একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে কলেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছিল[] ১৮৫৩ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে, কলেজটির নতুন নামকরণ করা হয় থমসন কলেজ অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। কলেজটি পরে ১৯৪৯ সালে রূড়কী বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়; ২১শে সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে সংসদের একটি আইনের মাধ্যমে এটিকে ভারতীয় প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের অন্যতম একটি, আইআইটি রূড়কী তৈরি করা হয়।[১০] ১৮৫৩ সালে বাংলার সুড়ঙ্গ খননকারী এবং খনি শ্রমিকেরা এখানে অবস্থান করেছিল যা ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের সময় এক নিয়ন্ত্রণকারী শক্তি হয়ে উঠেছিল। রূড়কীর ইতিহাসের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মধ্যে রয়েছে ১৮৬৬ সালের ডাকঘর আইন অনুসারে, জেলার মধ্যে এটি প্রথম ডাকঘর এবং প্রথম তার ঘর (টেলিগ্রাফ) পাওয়া কয়েকটি শহরের মধ্যে ছিল। এখন রূড়কীর একটি সাধারণ ডাকঘর (জিপিও) এবং রূড়কী শহর এবং সেনানিবাসে অবস্থিত বেশ কয়েকটি ডাকঘর রয়েছে। ১৮৮৬ সালে, রূড়কী ভারতের রেলওয়ে মানচিত্রে চলে আসে। ১৯০৭ সালে, প্রথম প্রাদেশিক ট্রাঙ্ক রোড মীরাট-রূড়কী-দেরাদুন নির্মিত হয়েছিল। ১৯২০ সালে, রূড়কী শহরটি উত্তর প্রদেশের প্রথম জলবিদ্যুৎ পাওয়া শহর হয়েছিল।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "City Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  2. "Census of India, 2011"। Office of the Registrar General, India। ২ মার্চ ২০০২। ১৬ জুন ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১০ 
  3. "Bengal Sappers’ saga of valour", The Tribune, 24 November 2008.
  4. "First train ran between Roorkee and Piran Kaliyar"The Hindu। ১০ আগস্ট ২০০২। ২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  5. Roorkee Town2, The Imperial Gazetteer of India, v. 21, p. 325.
  6. "Obituary. Thomas Login, F.r.s.e., 1823-1874"। Minutes of the Proceedings of the Institution of Civil Engineers39 (1875): 269–271। ১৮৭৫। ডিওআই:10.1680/imotp.1875.22738 
  7. Upper Ganges Canal, The Imperial Gazetteer of India, v. 12, p. 138.
  8. Indian Engineering Colleges, The Imperial Gazetteer of India, 1909, v. 4, p. 321.
  9. Sandes, Lt Col E.W.C. (১৯৩৫)। The Military Engineer, Vol II। Chatham: Institution of Royal Engineers। পৃষ্ঠা 358। 
  10. IIT Roorkee Official website.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
  • উইকিভ্রমণ থেকে রূড়কী ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।
  • চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Roorkee"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ23 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 706। 

টেমপ্লেট:Haridwar district