মাকাল
এই নিবন্ধটি উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন। মূল সমস্যা হল: অবিশ্বকোষীয় লেখা। (অক্টোবর ২০২২) |
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। (অক্টোবর ২০২২) |
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ রচনাশৈলীগত সমস্যা রয়েছে। (অক্টোবর ২০২২) |
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটিতে মৌলিক গবেষণাযুক্ত উপাদান রয়েছে অথবা যাচাইবিহীনভাবে দাবি করা হয়েছে। দয়া করে উপযুক্ত তথ্যসূত্র এবং উৎস প্রদান করে নিবন্ধটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। আরও বিস্তারিত জানতে নিবন্ধের আলাপ পাতায় দেখুন। (অক্টোবর ২০২২) |
মাকাল Trichosanthes tricuspidata | |
---|---|
মাকাল ফল | |
মাকাল ফুল | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্লান্টি |
শ্রেণীবিহীন: | অ্যানজিওস্পার্ম |
শ্রেণীবিহীন: | ইউডিকডস |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Cucurbitales |
পরিবার: | Cucurbitaceae |
গণ: | Trichosanthes |
প্রজাতি: | T. tricuspidata |
দ্বিপদী নাম | |
Trichosanthes tricuspidata Lour. | |
প্রতিশব্দ[১] | |
T. bracteata, T. palmata |
মাকাল বা মাকাল ফল (ইংরেজি: Redball snakegourd) (Trichosanthes tricuspidata) হচ্ছে Cucurbitaceae[২] [৩] পরিবারের Trichosanthes গণের একটি লতানো উদ্ভিদ। মাকাল শব্দটি বাংলা প্রবাদে বাজে অর্থে ব্যবহৃত হলেও এর প্রাচীন নাম ছিল মহাকাল যা ভেষজ গুণে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এই নামটি বিকৃত হয়ে কালে কালে 'মাকাল' নামে বাংলায় স্থান হয়েছে।
মাকালকে আরবিতে হানজাল, সংস্কৃতিতে দেব দালিকা, সিলেটি ও অসমিয়ায় কাউয়ালালি এবং হিন্দিতে ইন্দ্রায়ন বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম সিট Citrullus colocynthis। উদ্যান তত্ত্ববিদ উইলিয়াম মিথিউস মাকালকে অন্তসার শূন্য ফল বলে অভিহিত করেছেন।
গঠন
[সম্পাদনা]মাকাল গাছ মূলত লতাজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। চৈত্র বৈশাখে মাকাল গাছে সাদা ধবধবে ফুল ধরে। শ্রাবণ-ভাদ্রে মাকাল ফল পাকে। তখন মনকাড়া এই ফলটিকে আপেলের মতো দেখা যায়। দেখতে আপেলের মতো এই মাকাল ফলটি। গাছে ধরা অবস্থায় মাকাল ফলের মতো সুন্দর ফল সত্যি খুব কম দেখা যায়, তবে ভেতরটা খুবই কদর্য। এটি জঙ্গল বা বাড়ির বড় বড় গাছকে আশ্রায় করে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। মাকাল গাছ লম্বায় ৩০ থেক ৪০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর পাতায় থাকে অনেকগুলো খাঁজ। মাকাল ফল কাঁচা অবস্থায় গাঢ় সবুজ, কিছুদিন পর হলুদ ও পাকলে লাল বর্ণ ধারণ করে।
প্রাপ্তিস্থান
[সম্পাদনা]মাকাল ফলের আদি নিবাস তুর্কি। তুর্কি থেকে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে গাছটি বিস্তার লাভ করে। সারা পৃথিবীতে এর ৪২টি প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশে দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ১২টি প্রজাতি।
লোককথা
[সম্পাদনা]মাকাল ফল নিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহে নানা ধরনের প্রবাদ আছে। এরকম এটি প্রবাদ হচ্ছে:- এক সুন্দরী গৃহবধূ রাতের অন্ধকারে শাশুড়িকে বিষ প্রয়োগে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ওই বিষ তাকেও খেতে হয়। বিষক্রিয়ায় দুজনই মারা যায়। মৃত্যুুর আগে শাশুড়ি পুত্রবধূকে অভিশাপ দেয়। ওই অভিশাপেই গৃহবধূ মাকাল ফলে পরিণত হয়। যার বাইরের রূপই সুন্দর, কিন্তু ভেতরটা কালো।
ঔষধি গুনাগুন
[সম্পাদনা]ভেতরে কালো হলেও এটির রয়েছে ভেষজ উপকার। ভারতীয় চিকিৎসকরা মনে করেন যে মাকাল ফল এক সময় হাঁপানি, নাক ও কানের ক্ষত এমন কি কুষ্ঠ রোগেও ব্যবহৃত হয়েছে। যুগ যুগ পুরনো মাথা ব্যথার জন্যে তেল দিয়ে মিশ্রিত মাকালের শিকড় খুব উপযোগী। কবিরাজি মতে, মাকাল গাছের শিকড় কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। কফ ও শ্বাস কষ্ট নিরাময়েও মাকাল ফলদায়ক। আধুনিক ওষুধশিল্পে এ ফলের নির্যাস থেকে তৈরি ওষুধ ল্যাক্সেটিভ হিসেবে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার
[সম্পাদনা]মাকাল ফলের বীচি ও আঁশ শুকিয়ে গুড়ো করে পানিতে দ্রবীভূত করে ফসলে প্রয়োগ করা যায়। এই দ্রবণ ফসলের পোকামাকড়, ইঁদুর ও রোগ-বালাই দমনে বিষ হিসেবে কাজ করে। এর বিষ ফসলের জন্য ক্ষতিকর নয়।
বিলুপ্তির কারন
[সম্পাদনা]নানা কারণে প্রাকৃতিক বন উজাড় হওয়ায় এটি হারিয়ে যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি নানা ধরনের কীটনাশকের প্রভাবে পরিবেশবান্ধব মাকালের বিষ আর কেউ কিনতে চায় না। বাজারেও পাওয়া যায় না।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
T. tricuspidata var. tomentosa (near Mananthavady, India)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ The Plant List (retrieved 14/8/2017)
- ↑ Roskov Y.; Kunze T.; Orrell T.; Abucay L.; Paglinawan L.; Culham A.; Bailly N.; Kirk P.; Bourgoin T.; Baillargeon G.; Decock W.; De Wever A. (২০১৪)। Didžiulis V., সম্পাদক। "Species 2000 & ITIS Catalogue of Life: 2014 Annual Checklist."। Species 2000: Reading, UK.। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৪।
- ↑ Loureiro, João de (1790) Flora Cochinchinensis 2: 589.