বিষয়বস্তুতে চলুন

কিথ থমসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কিথ থমসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
কিথ থমসন
জন্ম (1941-02-26) ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ (বয়স ৮৩)
মেথভেন, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান, আম্পায়ার
সম্পর্কডব্লিউএ থমসন (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১১৫)
২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮ বনাম ভারত
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৭১
রানের সংখ্যা ৯৪ ৩১৩৪
ব্যাটিং গড় ৩১.৩৩ ২৮.২৩
১০০/৫০ ০/১ ৫/১৫
সর্বোচ্চ রান ৬৯ ১৩৬*
বল করেছে ২১ ৫১১
উইকেট
বোলিং গড় ৯.০০ ৪৯.২০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/৯ ১/৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/- ৩৫/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ অক্টোবর ২০২০

কিথ থমসন (ইংরেজি: Keith Thomson; জন্ম: ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪১) মেথভেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও হকি খেলোয়াড়। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৫৯-৬০ মৌসুম থেকে ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম পর্যন্ত কিথ থমসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে কিথ থমসন ১৯৫৯-৬০ মৌসুম থেকে ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম পর্যন্ত ক্যান্টারবারির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। তন্মধ্যে, ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমের প্লাঙ্কেট শীল্ড প্রতিযোগিতায় দুইটি শতরানের ইনিংস উপহার দেন। ফলশ্রুতিতে, ঐ মৌসুমে সফররত অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে চার খেলার প্রত্যেকটিতেই অংশ নেন তিনি।

১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে ক্যান্টারবারির সদস্যরূপে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন। নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে ঐ খেলায় তিনি ১৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন কিথ থমসন। সবগুলো টেস্টই ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ তারিখে ওয়েলিংটনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে ভারত দল নিউজিল্যান্ড গমন করে। সফরকারী দলের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে প্রথমবারের মতো খেলেন তিনি। ৬৯ ও ০ রানে অপরাজিত থেকে দলের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। এ জয়টি স্বাগতিক দলের ইতিহাসের চতুর্থ টেস্ট জয় ছিল। নিজস্ব দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি এক সপ্তাহ পর খেলেন। ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে তিনি ২৫ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর আম্পায়ারিত্বের দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। ১৯৮৩-৮৪ মৌসুম থেকে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম পর্যন্ত চৌদ্দটি প্রথম-শ্রেণীর খেলা পরিচালনা করেছেন তিনি।

হকিতে অংশগ্রহণ

[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি হকি খেলায়ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন তিনি। ১৯৫৯ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ক্যান্টারবারির পক্ষে সেন্টার হাফ কিংবা ইনসাইড রাইটে অবস্থান করে হকি খেলতেন। ১৯৬১ সালে ক্রাইস্টচার্চের ল্যাঙ্কাস্টার পার্কে সফররত ভারত দলের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তার। এরপর থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ২৮টি হকি টেস্টে অংশ নেন। তন্মধ্যে, ১৯৬৮ সালের অলিম্পিক গেমসে নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[][]

নিউজিল্যান্ডে স্তরভিত্তিক হকি আম্পায়ার ছিলেন। কানাডা ও ভারতের মধ্যকার দুইটি আন্তর্জাতিক হকি খেলায় আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনা করেছিলেন তিনি।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Keith Thomson"Olympic.org.nzNew Zealand Olympic Committee। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬ 
  2. ইভান্স, হিলারি; গিয়ার্ড, আরিল্ড; হাইম্যানস, ইরোইন; ম্যালন, বিল; ও অন্যান্য। "Keith Thomson"Sports-Reference.com এ অলিম্পিকস্পোর্টস রেফারেন্স এলএলসি। ১৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]